Wednesday , 9 November 2022 | [bangla_date]
  1. আন্তর্জাতিক
  2. খেলাধুলা
  3. প্রবাস জীবন
  4. ফ্রিল্যান্সিং
  5. বাংলাদেশ
  6. বিনোদন
  7. মতামত
  8. রাজনৈতিক

আমাদের শৈশবে খেলার একটা মাঠ ছিলো

প্রতিবেদক
Eman Ahmed
November 9, 2022 10:48 pm

আমরা বড়রা ছোটদের যতোটা না শরীরের খবর নেই, তার সিকিভাগও যদি মনের খবর নিতাম তবে আজ এই ছেলেটি এভাবে হয়তো বলতো না। আর ঠিক এভাবেই পরিবর্তন আসা দরকার।

বিশ বছর আগেও আমাদের শৈশবে খেলার একটা মাঠ ছিলো। বিকেলে আমরা মাঠে খেলার সুযোগ পেতাম। তখন পড়াশোনার অসুস্থ প্রতিযোগিতা ছিলো না। ছিলো না কম্পিউটার, ইন্টারনেট কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া।
তাই তখন মন খারাপটা তেমন হয়তো বেড়ে উঠতে পারতো না। বিকেলে মাঠে দল বেঁধে খেললে অথবা রাস্তায় শর্ট পিচে ক্রিকেট খেললেই মন আর খারাপ হবার পরিসর খুঁজে পেতো না।

কিন্তু আজ এই দুই হাজার বাইশে এসে আমরা আমাদের ছোট ছোট সন্তানদের হাতে সমস্ত দুনিয়া তুলে দিয়ে তাদের চারদেয়ালে বন্দি করে ফেলেছি। না আছে তাদের খেলার মাঠ, না আছে তাদের চঞ্চল বিকেল, না আছে খেলাধুলার অফুরন্ত অবসর।

পড়াশোনার মস্ত বোঝা চাপিয়ে দিয়েই আমরা খুশি। তাদের কখনোই উপলব্ধি করার সুযোগ দেই না -পড়াশোনাটাও একটা বিনোদন! একটা উপভোগের বিষয়, জানার আনন্দ! তারা জানে, তারা পড়ছে শুধুই সিজিপিএ বাড়ানোর জন্য।

তাই হয়তো এতো এতো চাপে থাকা একটা ছোট মানুষ যখন ভুল পথে পা বাড়ায় তখন তার সম্পূর্ণ দায়ভার একটা পরিবার এড়িয়ে যেতে পারে না কোনভাবেই।

এই সোস্যাল মিডিয়াগুলো তৈরিই হয়েছে আমাদেরকে আসক্ত করে রাখার জন্য। এখন আপনার আমার যদি পর্যাপ্ত বিনোদনের জায়গা না থাকে তাহলে আমরা কী করবো ? খেলার মাঠ, ফান জোন, প্লে জোন,সিনেমা/ থিয়েটার; তাইনা? ছেলেমেয়েরাও ঠিক তাই করছে।

আামরা এই বড়দেরই এর বিকল্প নিয়ে ভাবা উচিত। হইচই, চেঁচামেঁচি, শাস্তি, মারধোর না করে সুন্দর একটা সমাধানে কিভাবে আসা যায় তা নিয়ে চিন্তা করা উচিত। ধীরে ধীরে মোবাইল আসক্তি কাটিয়ে উঠতে তাকে অন্য কোনো সুস্হ অভ্যাসে অভ্যস্ত করার কথা ভাবা যায়।

এখনো অনেক পরিবারে টেক্সট বই ছাড়া অন্য বই পড়াকে মনে করে সময়ের অপচয়। অথচ এতো এতো টেক্সট বই, গাইড বই, গন্ডা গন্ডা নোট পড়িয়ে বছরে আমরা ক’জন বিজ্ঞানী তৈরি করতে পারলাম? আমাদের ক’জন ছেলেমেয়ে আবিষ্কারেন নেশায় বিভিন্ন গবেষণায় নিজেকে জড়াতে চায়? আমরা যতোদিন না প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকে বিনোদনের উৎস হিসেবে তাদের সামনে তুলে ধরবো, ততদিন ছেলেমেয়েরা পড়বে নাম্বারের জন্য, শেখার বা জানার আনন্দে নয়!

আপনি আপনার বাসার ছোট মানুষগুলোর হাতে বিনোদনের ভালো একটা মাধ্যম তুলে দিন, নিজে উদাহরণ তৈরি করুন- দেখবেন ওই ছেলেমেয়েগুলো মন খারাপ করার আর সময় পাবে না।

সন্তানকে অন্যের সাথে তুলনা না করে ভাবুন। কিভাবে ছেলেমেয়েদের জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্হ স্বাভাবিক একটি পৃথিবী গড়ে দিতে পারি।
পড়ুয়া,মেধাবী,শিক্ষিত এবং সার্টিফিকেট এক জিনিস নয়! পড়ুয়ারা পাশ দিতে, খবর জানতে, অথবা নিছক বিনোদনের ও শিক্ষার জন্যে পড়ে। একাডেমিক শিক্ষার ক্ষেত্রেও জিপিএ ৫ ও সার্টিফিকেট সঠিক বা একমাত্র মেধা নির্ণায়ক নয়, এদের অনেকেই কানার মত মুখস্থ করেও সেটা অর্জন করে। পক্ষান্তরে, মেধাবীরা কখনো অন্ধ অনুসারী নয়। মেধাবীদের অবশ্যই সৃষ্টিশীলতা, বিচার-বুদ্ধির বাস্তবিকতা সামাজিকতা,ব্যক্তিত্ব এবং লজিক্যাল ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের ক্ষমতা থাকে, এরাই মুক্ত-চিন্তক এবং এরাই মেধাবী। এরাই যুগে যুগে সমাজ, জাতি এবং দুনিয়ার মানুষকে সভ্যতার পথ দেখিয়ে আসছে—-

কিন্তু দূর্ভাগ্য হলেও সত্য আমার সমাজ ব্যবস্থা প্রায় মৃত.এই সমাজ কাউকে স্বাধীন,শিক্ষা,মানুষ গড়ার,দীক্ষা দেয়না।এই সমাজে পরাধীনতার,হিংস্রতা,কুশীলবদের তোষামদি,নষ্টদের নষ্টামিকেই জ্বী হুজুরেই সমর্তণ করতে হয়।
এই সমাজ ব্যবস্থা কে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করা এখন ফরজ হয়ে উঠেছে।কিন্তু কাকে দিয়ে এইসব পরিবর্তন সম্ভব আমরা যে সবাই কাপুরুষ ……
তার পরেও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চেষ্টা করবো আমার সমাজ আমার দেশ বাঙ্গালীর স্বাধীন বাংলাদেশ …..

সর্বশেষ - বিনোদন