কুমিল্লা জেলাব্যাপি তীব্র সমালোচনার মুখে হোমনা উপজেলা আওয়ামী পরিবার!
কুমিল্লা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৭ মামলার আসামী এবং রাজাকার বংশধর প্রার্থী মকবুল প্রশ্নে এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে আজ পর্যন্ত হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগের নীতিহীন আদর্শহীন সিদ্ধান্তহীনতায় ফুসেঁ উঠতে পারে হোমনা উপজেলা তৃণমূল আওয়ামী লীগ!
হোমনা উপজেলার সকল নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের যত টাকা চাই দিতে প্রস্তুত কুখ্যাত মকবুল পাঠান!
হোমনার পাঠান বংশের কুখ্যাত দুই শীর্ষ খুনি একজন আসাদ পুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জালালউদ্দীন পাঠান এবং তার ভাতিজা মকবুল পাঠান!!
২০১১ সালের ইউপি নির্বাচনে বিএনপির সহসভাপতি জালাল উদ্দিন পাঠানের সাথে একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন যুবলীগের প্রয়াত নেতা মুসলেম উদ্দিন।মুসলেম কে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিয়ে জালাল পাঠান একক ভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচন করার খায়েশে মজিদ স্যারের গাড়ি থেকে নামিয়ে মজিদ স্যারের সামনে কুপিয় ২০১০ সালে মুসলেম কে হত্যা করে জালাল পাঠান এবং তার সঙ্গী খুনিরা!
অধ্যাপক মজিদ নিজ দলের কর্মীকে তার গাড়িতে নৃশংস হত্যা করার পর পুরস্কার হিসেবে জালাল উদ্দিন কে ফুল দিয়ে মিষ্টি খাইয়ে আওয়ামী লীগে অন্তুভুক্ত করেন ব্যাবিচারী মজিদ।মূলত খুনি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন পাঠান আওয়ামী লীগে যোগ দেয় মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার লোভে।
এরপর ২০১৫ সালে মামলার অন্যতম সাক্ষী কালাকে পর্যন্ত হত্যা করে জালাল পাঠান বাহিনী।
এরপর আর পিছনের দিকে ফিরে তাকাতে হয়নি কুখ্যাত খুনি পাঠানদের।এরমধ্যেই খুনি জালাল উদ্দিন পাঠানের পথ অলংকৃত করে যোগ্য চাচার যোগ্য ভাতিজা হিসাবে আভিভূত হয় কিলার মকবুল পাঠান!
মকবুল পাঠান মূলত পাচু রাজাকারের সন্তান।মকবুল এতোটাই বিপদজ্জনক যে হোমনা তিতাস মুরাদনগর বাঞ্ছারামপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অল্প বয়সের মেয়েদের সৌদি আরবসহ মধ্যে প্রাচ্যে পাচার করতে থাকেঅন্যায় ভাবে অবৈধভাবে। ১৪/১৬ বছরের কিশোরীদের ২২/২৩ বছর বয়স বাড়িয়ে দিতে ব্যবহার করে খুনি চাচা চেয়ারম্যান জালালউদ্দীন পাঠানের আসাদপুর ইউনিয়নের সীল!যা র্যাব তার অফিস থেকে উদ্ধার করে!
তার পাঠানো শতশত কিশোরী সৌদি আরবসহ মধ্যে প্রাচ্যে যৌন হয়রানী স্বীকার হয়ে কেউ মারা গেছে কেউবা পঙ্গুত্ব বরণ করে সর্বহারা হয়ে দেশে ফিরেছে।আর কুখ্যাত মকবুল মালিক বনে গেছে শতশত কোটি টাকার!
রাজাকারের সন্তান হয়েও কুখ্যাত মকবুল গত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা টিকিট পেতে লবিং করে সর্বোচ্চ অর্থ এবং ক্ষমতা দিয়ে!কিন্তু নৌকার টিকিট তো পায়নি তারা চাচা খুনি জালালউদ্দীন পাঠানও পায়নি!পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে চাচার পক্ষে আনারস প্রতীককে বিজ য়ী করতে পুরো আসাদপুর ইউনিয়ন জুড়ে কায়েম করে হুলিয়া।আওয়ামী লীগ এবং নৌকার পক্ষের নেতাকর্মীদের উপর শুরু করে বর্বর পৈচাশিক হত্যা নির্যাতন এবং হামলা মামলা!
মকবুল পাঠান নির্বাচনের কয়েকদিন আগে আসাদপুর ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগকে সমূলে ধ্বংস করতে বাজেট ঘোষণা করে ৫০০ কোটি টাকা!
হোমনা তিতাসের শীর্ষ খুনিদের বিশাল অর্থে ভাড়া করে গ্রাসকরা হয় পুরো আসাদপুর ইউনিয়নকে!নির্বাচনের কয়েকদিন আগে জালাল পাঠানের দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ট্রলারে রেখে নৌকার প্রার্থীর অস্ত্র বলে প্রচার করে শুরু করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর নজিরবিহীন নৃশংস হামলা মামলাসহ পাশবিক নির্যাতন।
নির্যাতনের ভয়াবহতায় আওয়ামী লীগের আমলে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন আসাদপুরে পাচু রাজাকারের সন্তান মকবুল তার চাচা চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন পাঠান ৭১ এর তৎকালীন পাকবাহিনী এবং রাজাকার আলবদর আল শামসদেরকে ও হার মানিয়ে আনারস প্রতীক নিয়ে চাচাকে জয়লাভ করায় মকবুল!
ঘটনা এখানেই শেষ নয় আসাদপুরে নৌকার জন্য যারা নির্বাচনে সরাসরি কাজ করেছে যারা নৌকায় ভোট দিয়েছে এমন ত্যাগী নেতাকর্মীদের উপর হত্যা হুলিয়া জারি করে মকবুল বাহিনী!
নির্বাচনের কিছুদিন পরেই মকবুল তার ভাড়াটে পেশাদার খুনিদের দিয়ে অর্থ দিয়ে অস্ত্র দিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় খুন করে যুবলীগ নেতা সালাউদ্দিন জহিরকে!
সালাউদ্দিন জহির মৃত্যুর আগ মুহূর্তে কারা কারা হত্যা মিশনে অংশ নিয়েছিলো নাম বলে গেছেন সেই শীর্ষ খুনীদের জবানবন্দিতে উঠে আসে চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীন পাঠান এবং জহির হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী মকবুল পাঠানের নাম!
জহির হত্যা মামলার এক নম্বর আসামী কুখ্যাত পাচু রাজাকারের সন্তান মকবুল পাঠান দুই নাম্বার আসামী চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন পাঠান!
চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন পাঠান আজ চারমাস যাবৎ দুইটি হত্যা মামলার আসামী হয়ে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি থাকলেও দেশ সেরা শীর্ষ নারী পাচারকারী খুনি মাফিয়া ডন মকবুল পাঠান আইনের ফাকফোকর এবং বস্তা বস্তা অবৈধ টাকা দিয়ে এখনো রয়েছে বহাল তবিয়তে তাকে ছুইতে পারেনি আইন শৃংখলা বাহীনি তাকে আটাকাতে পারেনি বাংলাদেশের মহামান্য আদারত!!
সেই কুখ্যাত নিকৃষ্ট খুনি জানোয়ার মাফিয়া ডন মকবুল পাঠান এবার খায়েস কুমিল্লা জেলা পরিষদ নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে হোমনা থেকে নির্বাচন করা এবং কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারে আরোহন করা! মূলত এই খুনির টার্গেট নারী পাচার এবং হত্যা মামলা থেকে নিস্কৃতি পাওয়ার হাতিয়ারে পরিণত করেছে জেলা পরিষদ নির্বাচন কে।
এই নির্বাচনে ইতিমধ্যে ভিপি কিশোরকে বিশাল অংকের অর্থে ম্যানেজ করে মনোনয়ন প্রত্যাহার আগেই করিয়েছে। এবং অন্য প্রার্থীদের কেও ম্যানেজ করতে দুই কোটি টাকার বাজেটের ব্যবহার ইতিমধ্যে শুরু করেছে জানা যায় খুনি মকবুল প্রয়োজনে পাচ কোটি টাকা খরচ করে হলেও কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য পদ তার চাই।
এজন্য হোমনা উপজেলা পৌরসভার সকল জনপ্রতি প্রতিটি ইউনিয়নের সকল চেয়ারম্যান এবং মেম্বারদের ভোট আদায় করে নিতে যত কোটি টাকা দরকার প্রস্তুত রাজাকারের বংশধর মকবুল!
এর পরেও অপর তালা প্রতীকের প্রার্থী হোমনা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কায়সার আহমেদ বেপারী আওয়ামী পরিবারের একনিষ্ট অগ্রসৈনিক হয়েও আজ পর্যন্ত তার পক্ষে হোমনা উপজেলা আওয়ামী পরিবার কেন আনুষ্ঠানিক ভাবে মাঠে নেই সেই উত্তর সহজে মিলছে মকবুল পাঠানের ঘোষিত অবৈধ কালো টাকার ফ্রেমওয়ার্কে!
উপরে লেখা তথ্য বিবরণী প্রমাণ এবং বিশ্বাস করতে হলে দেখুন সম্পূর্ণ ভিডিও টি!