একজন প্রবাসি জানে জীবনে কষ্ট
সকালে ঘুম থেকে উঠে ডিউটিতে যাওয়া দুপুরের খাবার তৈরি করা, ১২/১৪ ঘন্টা ডিউটি করে রাত ১২ টার সময় ডিউটি শেষ করে আবার রাতের খাবার তৈরি করা,। ৪/৫ ঘন্টা ঘুমানোর পর আবার সেই রুটিন অনুযায়ী কাজ করা। এমনকি ১০২° জ্বর নিয়ে ও কাজ করতে হয়।
তাতে ও একজন প্রবাসির কোনো কষ্ট হয় না। কষ্ট কেনই বা হবে? যদি সেই একজন মানুষের কষ্টের বিনিময়ে ফ্যামিলির আর ও দশজন মানুষ সুখে থাকে। একজন প্রবাসি না খেয়ে থাকলে ও কষ্ট হয় না।
কষ্ট তখনি হয় যখন পরিবার প্রিয়জনদেরকে দীর্ঘদিন ধরে কাছে না পাওয়ার ব্যাথা অনুভব হয় যখন তাদেরকে অনেক মিস করে।
কষ্ট তো তখনি হয় যখন একজন প্রবাসি প্রবাসের মাটিতেই অসুস্থতায় ভোগে। কারন একজন প্রবাসি যখন প্রবাসের মাটিতে অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন বোঝা যায় পরিবার প্রিয়জনদের কদর।
সবচেয়ে বেশি কষ্ট তখনি হয় যখন স্বদেশে থেকে খবর আসে স্বজনদের মধ্যে কেউ একজন অসুস্ত (সেটা যদি মা হয়) তখন একজন প্রবাসির মন ভেঙে ছুড়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।
তাছাড়া একজন প্রবাসির বেশি কষ্ট লাগে এত কষ্টের বিনিময়ে ও যখন শুনে পরিবার প্রিয়জনরা অসুখি। তারা কেউ সন্তুষ্ট না।
একজন প্রবাসির কষ্টের শেষ নাই। সেই সারাদিন এত খাটনি করে যখন ঘুমাতে যায় তখন ও সুখ নাই। সবসময় চিন্তার মধ্যে দিয়ে যাইতে হয় তাকে।
পরিবার প্রিয়জনদের জন্য এত কিছু করার পরে ও কেননা সে মনে করে আমি মনে হয় তাদের জন্য কিছু করতে পারি নাই। (পরিস্তিতি বুঝে)
বিছানায় শুয়ে নিজের মনের সাথে দীর্ঘ ২ ঘণ্টা যুদ্ধ করার পরে একটু ঘুম আসে। ঘুম না কি সব দুঃখ কষ্ট ভুলিয়ে দেয়। প্রবাসিদের সাথে ঘুম ও বেইমানি করে ঘুমের মধ্যে হাজারো দুঃস্বপ্ন এসে কষ্টটা আর ও বাড়িয়ে দেয়।
ভাই আমরা প্রবাসি প্রবাসে থাকি, বিভিন্ন দেশের মানুষের সাথে থাকি, স্বদেশে না সুতারাং স্বদেশ এবং স্বজনের জন্য মন কাঁদবে, কষ্ট লাগবে এটাই স্বাভাবিক।
প্রবাসিদের নিয়ে লিখতে গেলে লেখা শেষ হবে না
স্যালুট সকল প্রবাসি ভাইদেরকে। তোমরা জীবন যুদ্ধে এক অপরাজিত যুদ্বা।
পরিশেষে সকল প্রবাসি ভাইদের জন্য দোয়া ও সুস্ততা কামনা করছি।