কুমিল্লার হোমনায় গ্রুপিং এর কারনে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে চলছে সংঘর্ষ ও চরম বিশৃংখলা৷
হোমনায় বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন কে কেন্দ্র করে চলছে চরম বিশৃংখলা ও সংঘর্ষ৷ তার বড় কারন হলো গ্রুপিং৷ ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের পর থেকে এখানে (আবুল- মজিদ এবং এমপি গ্রুপ নামে) দুটি গ্রুপ বিদ্যমান থাকলে ও এই প্রথম প্রকাশ্যে বিশৃংখলা ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পরছে দুটি গ্রুপের সমর্থকরা৷
তার প্রধান কারন হলো- কেন্দ্র থেকে নির্দেশ ছিলো থানার সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও এমপির সমন্ময়ে কমিটি গঠন করা৷ কিন্তু কিছুদিন আগে সমাপ্ত হয়ে যাওয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনের ডামাঢোলে সবাই যখন ব্যস্ত, ঠিক তখোনি আবুল- মজিদ গ্রুপ, এমপি গ্রুপকে না জানিয়ে কৌশলে তাদের নিজেদের লোক দিয়ে ওয়ার্ড কমিটি গুলো সম্পন্ন করে ফেলে৷ এতে বহুলাংশে পিছিয়ে পরে এমপি গ্রুপের সদস্যরা৷
এদিকে এমপি গ্রুপের অন্যতম শক্তি বা ভ্যানগার্ড হিসেবে পরিচিত হোমনা উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক কায়সার আহমেদ বেপারী সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে সর্ব মহলের বিরুধিতার পরে ও অল্পের জন্য জয় বঞ্চিত হওয়ায় তার খানিকটা মান- অভিমান বা নিস্তব্ধতায় এমপি গ্রুপ, আবুল- মজিদ গ্রুপের কাছে অনেকটাই দূর্বল ও কোনঠাসা হয়ে পরেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকগন৷
কারন মাঠ পর্যায়ে কায়সার আহমেদ বেপারীর রয়েছে বিপুল জনপ্রিয়তা৷ যার প্রমান সদ্য সমাপ্তি জেলা পরিষদ নির্বাচনে সব পক্ষ থেকে অসহযোগিতার পরে ও তার পক্ষে ৫৫ ভোট পাওয়া৷
ফলে এমপি গ্রুপ তাদের অস্তিত্ব রক্ষায় আবার ও কায়সার আহমেদ বেপারীর মান- অভিমান ভাঙ্গিয়ে কাছে টানার চেষ্টা করছে বলে খবর পাওয়া গেছে৷
এমতাবস্থায় সাধারন তৃনমূল নেতাকর্মীদের দাবী, আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যদি কেন্দ্র থেকে এই বিরোধ নিস্পত্তির কোন উদ্যোগ নেয়া না হয়, তাহলে এই পরিস্থিতি আরো ভয়ংকর রুপ ধারন করবে যা দলের ক্ষতির কারন হয়ে দাড়াবে৷