#প্রিয়_আয়াত,
তোমার নিখোঁজ সংবাদ শুনার পর থেকে অপেক্ষায় থাকতাম এই বুঝি তোমাকে খুঁজে পাওয়ার খবর আসছে । কিন্তু না, তোমাকে খুঁজে পাওয়া গেলো ঠিকই কিন্তু জীবিত নয়, মৃত তাও খন্ডিত লাশ!
জান, ফেনিতে ঠিক তোমার বয়সের একটা মেয়ে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল, চেহারাটা অনেকটা তোমার মতো । আমি খুশি হয়ে সেই ভাইয়ের পোস্টে তোমার ছবি সমেত সংবাদটা দিই । কিন্তু পরে জানলাম সেটা তুমি নও ।
#প্রিয়_আয়াত,
তোমার নিখোঁজ সংবাদ শুনার পর থেকে অপেক্ষায় থাকতাম এই বুঝি তোমাকে খুঁজে পাওয়ার খবর আসছে । কিন্তু না, তোমাকে খুঁজে পাওয়া গেলো ঠিকই কিন্তু জীবিত নয়, মৃত তাও খন্ডিত লাশ!
জান, ফেনিতে ঠিক তোমার বয়সের একটা মেয়ে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল, চেহারাটা অনেকটা তোমার মতো । আমি খুশি হয়ে সেই ভাইয়ের পোস্টে তোমার ছবি সমেত সংবাদটা দিই । কিন্তু পরে জানলাম সেটা তুমি নও ।
আচ্ছা আয়াত, কে সে পাষাণ মানুষ! যে তোমার মতো একটা নিষ্পাপ শিশুকে মেরে ফেলতে পারলো!! খন্ড খন্ড করতে পারলো!!! তার বুক কি কেঁপে উঠেনি? তার চোখের সামনে কি তার মেয়ে, বোন বা কোন প্রিয় বাচ্চার ছবি ভেসে ওঠেনি? কিভাবে সে দশ দশটা দিন স্বাভাবিক ছিল?
জান আয়াত! দেশটা দিন দিন বসবাসের অযোগ্য হয়ে ওঠছে । এখানে খুনির শাস্তি হয়না বললেই চলে । বিচারহীনতার সংস্কৃতি দেশটাকে অমানুষের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে । খুনিরা বিভিন্ন প্রশ্রয়ে কিছুদিন পর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে যায়, আর নির্দোষ আলিমরা বছরের পর বছর জেল খেটে যায় ।
তোমার হত্যার বিচার ও ঠিক তেমনি হবে । আসামি আটক হবে । মিছিলের পর মিছিল, তারিখের পর তারিখ দিতে থাকবে । বছরের পর বছর লাগবে চার্জশিট দিতে, আপিল হবে, হত্যাকাণ্ড প্রমান করতে লাগবে একযুগ । তারপর, তারপর কি জান? তোমার বাবা- মা আদালত পাড়ায় যেতে যেতে বিরক্ত হয়ে হাল ছেড়ে দেবে, নিঃস্ব হয়ে পড়বে । তারপর কোন এক অদৃশ্য ইশারায় খুনি খালাস পেয়ে যাবে । ততদিনে আরও কতো আয়াতকে পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে আল্লাহই জানেন ।
যারা খুনির পক্ষ হয়ে লড়বেন তাদেরও তোমার মতো বাচ্চা আছে, যিনি জামিন দিবেন বা যারা তদ্বির করবেন তাদেরও আছে । কিন্তু তাদের টাকা চাই, অ- নে- ক টাকা । টাকা থাকলে এদেশে সবকিছু হয় । আইন, বিচার, ক্ষমতা সব কিনতে পাওয়া যায় ।
তুমি হয়তো ভাবছো, তোমার জন্যে সবাই সোচ্চার হবে, ক্ষোভে ফুঁসে ওঠাবে? এদেশের মানুষের এতো সময় কোথায়? তারা ফুটবল খেলা নিয়ে খুবই ব্যস্ত । তারা এখন একজনের বিরুদ্ধে আরেকজন খিস্তিখেউড়ে ব্যস্ত । টাকা খরচ করে পতাকা বানিয়ে, উঁচু জায়গাতে সেটা টানিয়ে, জার্সি গায়ে মিছিল করতে আর ফেসবুক জুড়ে বিষোদগার করতে চরম ব্যস্ত । তারপরও যদি সোচ্চার দাবি ওঠে তবে তুমি অনেক ভাগ্যবতী!
আয়াত! চেনা মানুষগুলো দিনদিন কেমন যেনো অচেনা হয়ে যাচ্ছে, পরিচিত জায়গাগুলো বড়ই অপরিচিত লাগছে । নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসতে চায় । এ দূষিত জায়গা থেকে যত তাড়াতাড়ি যাওয়া যায় ততো কল্যাণ । বেঁচে থাকলে হয়তো এমন সব কিছু দেখতে.
আল্লাহ তায়ালা তোমাকে তাঁর রহমতের চাদরে আবৃত করে রাখুন, জান্নাতের মেহমান বানান, তোমার মা- বাবাকে সবরে জামিল দান করুন এবং উত্তম বিনিময় দান করুন ।
সকল দলমতের উর্ধ্বে ওঠে প্রকৃত খুনি এবং এর সাথে জড়িত সকলের দ্রুত কঠোর শাস্তি দাবি করছি ।
আচ্ছা আয়াত, কে সে পাষাণ মানুষ! যে তোমার মতো একটা নিষ্পাপ শিশুকে মেরে ফেলতে পারলো!! খন্ড খন্ড করতে পারলো!!! তার বুক কি কেঁপে উঠেনি? তার চোখের সামনে কি তার মেয়ে, বোন বা কোন প্রিয় বাচ্চার ছবি ভেসে ওঠেনি? কিভাবে সে দশ দশটা দিন স্বাভাবিক ছিল?
জান আয়াত! দেশটা দিন দিন বসবাসের অযোগ্য হয়ে ওঠছে । এখানে খুনির শাস্তি হয়না বললেই চলে । বিচারহীনতার সংস্কৃতি দেশটাকে অমানুষের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে । খুনিরা বিভিন্ন প্রশ্রয়ে কিছুদিন পর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে যায়, আর নির্দোষ আলিমরা বছরের পর বছর জেল খেটে যায় ।
তোমার হত্যার বিচার ও ঠিক তেমনি হবে । আসামি আটক হবে । মিছিলের পর মিছিল, তারিখের পর তারিখ দিতে থাকবে । বছরের পর বছর লাগবে চার্জশিট দিতে, আপিল হবে, হত্যাকাণ্ড প্রমান করতে লাগবে একযুগ । তারপর, তারপর কি জান? তোমার বাবা- মা আদালত পাড়ায় যেতে যেতে বিরক্ত হয়ে হাল ছেড়ে দেবে, নিঃস্ব হয়ে পড়বে । তারপর কোন এক অদৃশ্য ইশারায় খুনি খালাস পেয়ে যাবে । ততদিনে আরও কতো আয়াতকে পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে আল্লাহই জানেন ।
যারা খুনির পক্ষ হয়ে লড়বেন তাদেরও তোমার মতো বাচ্চা আছে, যিনি জামিন দিবেন বা যারা তদ্বির করবেন তাদেরও আছে । কিন্তু তাদের টাকা চাই, অ- নে- ক টাকা । টাকা থাকলে এদেশে সবকিছু হয় । আইন, বিচার, ক্ষমতা সব কিনতে পাওয়া যায় ।
তুমি হয়তো ভাবছো, তোমার জন্যে সবাই সোচ্চার হবে, ক্ষোভে ফুঁসে ওঠাবে? এদেশের মানুষের এতো সময় কোথায়? তারা ফুটবল খেলা নিয়ে খুবই ব্যস্ত । তারা এখন একজনের বিরুদ্ধে আরেকজন খিস্তিখেউড়ে ব্যস্ত । টাকা খরচ করে পতাকা বানিয়ে, উঁচু জায়গাতে সেটা টানিয়ে, জার্সি গায়ে মিছিল করতে আর ফেসবুক জুড়ে বিষোদগার করতে চরম ব্যস্ত । তারপরও যদি সোচ্চার দাবি ওঠে তবে তুমি অনেক ভাগ্যবতী!
আয়াত! চেনা মানুষগুলো দিনদিন কেমন যেনো অচেনা হয়ে যাচ্ছে, পরিচিত জায়গাগুলো বড়ই অপরিচিত লাগছে । নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসতে চায় । এ দূষিত জায়গা থেকে যত তাড়াতাড়ি যাওয়া যায় ততো কল্যাণ । বেঁচে থাকলে হয়তো এমন সব কিছু দেখতে.
আল্লাহ তায়ালা তোমাকে তাঁর রহমতের চাদরে আবৃত করে রাখুন, জান্নাতের মেহমান বানান, তোমার মা- বাবাকে সবরে জামিল দান করুন এবং উত্তম বিনিময় দান করুন ।
সকল দলমতের উর্ধ্বে ওঠে প্রকৃত খুনি এবং এর সাথে জড়িত সকলের দ্রুত কঠোর শাস্তি দাবি করছি ।